লক্ষ্মীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলনের (৫৫) পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত ও কবর জিয়ারতের শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা কাউছার সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের পূর্ব রাজিবপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম ও জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত মমিন উল্ল্যার ছেলে।
মাওলানা হাবীব বলেন, অপরাধীদের কোন দলীয় পরিচয় নেই। তাদের পরিচয়, তারা অপরাধী। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাবো। কোন সন্ত্রাসী বা অপরাধীকে যেন আশ্রয় না দেয়। তাদের জন্য যেন তদবির না করে। প্রশাসনকে প্রভাবিত না করে। বরং ইমাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারে তারা সহযোগিতা করবে। এমনটি প্রত্যাশা জাতীয় ইমাম সমিতির।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক একটি ঘটনা নিয়ে একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হচ্ছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার ইমামের ছোট ভাই। তখন চাচাকে রক্ষা করতে মরহুম কাউছার আহমেদের ছেলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার হয়। খবরটি পেয়ে সন্তানকে বাঁচাতে ইমাম সাহেব সেখানে গিয়েছেন। ওই সময় সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করে। সে ঘটনার কিছু সময় পর তিনি মারা যান। হামলাকারীরা একটি রাজনৈতিক দল (বিএনপি) এর কর্মী ও নেতা ছিলেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহা সচিব মাওলানা মহি উদ্দিন বলেন, মাওলানা কাউছার হামলার শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রশাসনকে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হয় সারাদেশের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা বসে থাকবে না। তারা প্রতিবাদ জানাবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আপনারা দুর্বল ভাববেন না। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে, জাতীয় ইমাম সমিতি মনে করে। এই হত্যাকান্ডের যথাযথ বিচার দেশের প্রশাসন করবে।
পরে জাতীয় ইমাম সমিতির সহ-সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমেদ শিহাব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মহি উদ্দিন, এহসান উদ্দিন ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনসহ একটি টিম অতিরক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় তারা হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরে তারা লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।