ইফতেখার আলম বিশাল, ,রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মো. কৌশিক ওরফে আতিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেফতারকৃত কৌশিক নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া (বল্লভগঞ্জ) এলাকার আরমান আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৭ নং জোনের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগী মুরসালিনা খাতুন (২৮) জানান, তিনি একই কার্যালয়ে সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। সে সুবাদে তাদের পরিচয় ও পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুরসালিনার অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে কৌশিক তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বলার অজুহাতে শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সময় ক্ষেপণ করে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, কৌশিক বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে মুরসালিনার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা আদায় করে। এমনকি, ভুক্তভোগীর নামে অগ্রণী ব্যাংকের নগর ভবন শাখায় একটি হিসাব খুলে নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়ে নমিনি হিসেবে যুক্ত করে। পরে, চলতি বছরের ২ মে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর ব্ল্যাকলিস্ট করে দেয় এবং ৮ মে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার পর ৮ মে চন্দ্রিমা থানায় ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন মুরসালিনা খাতুন। মামলা নম্বর-০৯, তারিখ ০৮-০৫-২০২৫। এরপর র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল ১৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর বর্ণালী এলাকা থেকে কৌশিককে গ্রেফতার করে।
মুরসালিনা খাতুন অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর তার পরিবারের সদস্যদেরকে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিহার রহমান জানান, ভুক্তভোগীকে হুমকির বিষয়টি তার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।