মোঃ সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন "নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিয়িক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম" (৮ম পর্যায়) প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন এবং ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টা থেকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন "নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিয়িক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে ৭ম পর্যায় সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এরপর চলতি বছরের ১ জানিুয়ারি থেকে প্রকল্পের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ মুদ্রণ ও সরবরাহ করা হয় এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আশ্বাসের কোন অগ্রগতি নেই। গত ১৪ মে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় ৫ মাসের বেতন ভাতা বাদ দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে প্রকল্পের ৮৪ হাজার শিক্ষক, কোয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরেও প্রকল্পের শিক্ষক, কোয়ারটেকাগণ বেতন-ভাতা পাননি। বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্বে বেতন-ভাতা প্রদান করা না হলে সারাদেশে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
স্মারকলিপিতে জানুয়ারি-২০২৫ হতে প্রকল্প অনুমোদন এবং ঈদুল আজহার পূর্বেই বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ; প্রকল্পের ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতভূক্ত করা; ৭ম পর্যায় প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করা; কেয়ারটেকার ও কর্মীদেরকে স্কেলভূক্ত করা এবং শিক্ষকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।