এস.এম আকাশ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে ঘরের চাল ভাঙ্গার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অন্যের বাড়ীঘরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় দুজন আহত ও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ১০ মাসের একটি শিশু সন্তান। বৃহস্পতিবার (০১এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাবুন্ডা পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফয়সাল নামের এক ব্যাক্তির বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন, ফয়সালের চাচা প্রতিবেশি আলী মিয়া (৬৫) ও তার ছেলে বাশার মিয়া (৪০), আনোয়ার মিয়া (৪৫), টুটুল মিয়া (৪১), মেয়ে পপি বেগম (৩৩)। আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও বাশার মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফয়সালের বসত বাড়ীর টিনের গেট কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে বাড়ীর ভিতর ঢুকে তাকে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় আলী মিয়ার হুকুমে আসামিরা ৬০ বছর বয়সী অবিবাহিত ফয়সালের ছোট চাচা শাজাহান মিয়াকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাড়া করলে তিনি প্রান বাচাতে দৌড়ে ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন। তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সালের বসত ঘরের দরজা ও ঘরের জানালার থাইগ্লাস কুপিয়ে ভাঙচুর করে।
পরে ফয়সাল ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা সরে পড়ে। পরবর্তীতে ফয়সালের মা ও ভাবিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে মাকে ভর্তি করে ও ভাবিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। ফয়সাল জানান, গত ১৫ দিন আগে আমার বিল্ডিং এর ছাদে থেকে আমার ছোট অবুঝ ভাতিজার হাত থেকে অসাবধানতাবশত একটি ইটের টুকরো পড়ে আসামিদের রান্নাঘরে চালের দুটি সিমেন্টের টিন ভেঙ্গে যায়। তখন আমি দ্রুত দুটি নতুন টিন কিনে মিস্ত্রি দিয়ে চালে লাগিয়ে দেই। মিস্ত্রি নতুন টিন লাগিয়ে চাল থেকে নামার সময় মিস্ত্রির পায়ে লেগে পুরান টিনের একটি কোনা ভেঙ্গে যায়। পুরান টিনের সামান্য কোনা ভাঙ্গা ঠিক করে দিতে দেরি হওয়ায় তারা সবাই মিলে আমার বাড়ী ঢুকে এই হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আসামি আলি মিয়া জানান, রাগের বশে আমার ছেলে আনোয়ার এই অপরাধ করেছে। শনিবার দুপুরে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।