শিরোনাম
◈ ওরিয়ন গ্রুপের ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি ◈ শতাধিক কারখানা বন্ধ, বিপাকে ৬০ হাজার শ্রমিক ◈ ডেনিম এক্সপোর ১৮তম আসর শুরু সোমবার ◈ টেকসই উন্নয়নে সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার ◈ এডিবির কাছে যে চার খাতে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছে জ্বালানি তেল, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা ◈ ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শা‌মি‌কে প্রাণনাশের হুমকি ◈ ব্রা‌জিল আগামী সপ্তাহে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করবে  ◈ বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও আগের মতোই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চান  জানালেন  ডা. জাহিদ  ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণে এগিয়ে বাংলাদেশ, মানবসম্পদে পিছিয়ে

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৩ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে স্ত্রীর আঘাতে স্বামী নিহত

সনত চক্রবর্ত্তী ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর হাতের পুতোর (পাটা-পুতো) স্বামী ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৭) নামে এক কৃষকদল নেতার নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে ও উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুর রহমান মুন্সির সাথে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার ছেলে এবং পুত্রবধূর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ওবায়দুর রহমান মুন্সির স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পাটার পাথরের পুতো দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত হত্যা করে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে ওবায়দুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে নিহতের ছোট ভাই সিরাজ ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওবাইদুরকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট ভাই সিরাজ মুন্সী বলেন, আমার ভাবি ও সন্তানেরা বড় ভাইকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে পাগল করে ফেলেছে। তারা প্রায় সময় ভাইয়ের সাথে খুব খারাপ আচারণ করতো। এমনকি তার গায়ে হাত দিতো। বুধবার দিবাগত রাতের শেষ ভাগে ভাবি আমাকে গিয়ে বলছে তোমার ভাইকে কারা যেন মেরে ফেলে রেখে গেছে। আমি তাদের বাড়িতে ভয়ে যাই না। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে ভাইকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক নানা কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন নিজেই তার স্বামীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়