কামাল শিশির,রামু : সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুর দাম ১০ টাকা কমলো। বলা চলে, বাজারে শীতকালীন সব সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে ডিমের দাম স্থিতিশীল আর চাল, মুরগি ও মাছের দাম আগের মতোই।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছুটির দিন রামুর ঈদগড়সহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। বাকি সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি গোল ও লম্বা বেগুন ২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা ২০ টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ২০-৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আলু ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদগড় কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, শীতের সবজি প্রচুর সরবরাহ, দামও কম। বাজারে এখন প্রচুর আলু পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে দেশি আলু। এ জন্য দাম কমেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতিকেজি ৯০০শ থেকে ১০০০টাকা বিক্রী হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের মতোই চড়া চালের বাজার।
বাজারভেদে চালের দাম ৫-৬ টাকা কমবেশি হয়। এর কারণ সরবরাহ ও মজুত। কারও কাছে পুরোনো চাল থাকলে সে আগের দামে বিক্রি করতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সবজি ও তরকারী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকায় সন্তুষ্টিতে রয়েছেন ক্রেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :