বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীরা ওই প্রকৌশলীকে আটক করে।
পুলিশবিহীন সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বস্তাভর্তি নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ এক প্রকৌশলীকে আটক করেছেন তারা।
আটক প্রকৌশলীর নাম হারুনর রশীদ। তিনি পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে আছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পরিবারসহ দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছে আটক হন তিনি। পরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে সেখানে থাকা শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে একটি কালো প্রাইভেট কার দ্রুত ওভারটেক করে যাবার সময় শিক্ষার্থীরা আটকে দেয়। চালকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে গাড়িটি তল্লাশি করে বস্তাভর্তি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাই। পরে তাকে আটকে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনা কর্মকর্তা মেজর রাশেদ জানান, আটক ব্যক্তি পটুয়াখালী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছে। ভারতে যাবার উদ্দেশ্যে তিনি পটুয়াখালী থেকে আসছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাকে আটকে আমাদের খবর দেয়। আমরা তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করি। তার কাছে নগদ ২০ লাখ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
আটক হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে যে টাকা এগুলো তার স্ত্রীর জমি বিক্রি করা ১২ লাখ এবং অসুস্থ শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর অর্জিত টাকা। সূত্র : আরটিভি
তিনি বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে পটুয়াখালীতে কর্মরত। ওই এলাকার একটি পক্ষ আমাকে বেনামে চিঠি দিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন যে আপনি পাঁচ বছর এই জেলায় আছেন। দ্রুত বদলি হয়ে এখান থেকে চলে যান। না হলে আপনার পরিবারসহ আপনাকে বিপদে ফেলা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :