শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে সেভেন সিস্টার্স ও পাকিস্তান নিয়ে কেন চিন্তিত ভারত? ◈ ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের এএসআইসহ ৬ জন ◈ কবরস্থানে দুই বালতি ভর্তি ২০ তাজা বোমা উদ্ধার! ◈ সোমবার আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব : হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ◈ মাস্ক পরা অবস্থাতেই চুম্বন, হংকংয়ে বস ও এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নারীর যৌন নির্যাতনের মামলা ◈ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে বিপুল পরিমাণে চিনি ◈ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূতের সঙ্গে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ ◈ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভারত, কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বে খড়া, বিভিন্ন দেশে চলছে ইন্ডিয়া আউট আন্দোলন ◈ শুভেন্দু অধিকারী হয় বোকা, নয় মূর্খ, যিনি হঠাৎ করে বাংলাদেশ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন!(ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার দুই সন্তান বাপ ডাকবে কাকে

অনুজ দেব, চট্টগ্রাম: মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা প্রায় সাড়ে ৩টা। ঘটনাস্থল চট্টগ্রামের মুরাদপুর। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষে চলছিল তুমুল সংঘর্ষ। এসময়টাতেই লালখান বাজারের বাসা থেকে ভাত খেয়ে কর্মস্থলে ফিরছিলেন শুলকবহরের একটি ফার্নিচার কারখানার শ্রমিক মো. ফারুক। সংঘর্ষের মধ্যেই বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নগরের লালখান বাজারের বাসা থেকে ছুটে আসেন সীমা আকতার। সঙ্গে ছিলেন বাবা মো. শহীদ ও শ্বশুর মো. দুলাল। মো. ফারুকের মরদেহ তখন পড়ে আছে লাশ ঘরে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরের সামনেই বিলাপ করছিলেন সীমা। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখেই তার প্রশ্ন- ছবি তুলে আর কী করবেন। প্রশাসন চাইলে কি এসব বন্ধ করতে পারত না? আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে।

সীমা বলেন, আমাদের সংসারে উপার্জনের আর কেউ নেই। আমার দুই সন্তান বাপ ডাকবে কাকে। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। ছেলেমেয়েগুলো এখনো নাবালক, আমার সন্তানদের কে দেখবে। আমার ছেলেমেয়েরা এখনো জানে না, তাদের বাবা নেই। কী বলব তাদের, তা জানি না।

নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। ফারুক ও সীমা আকতারের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে ফাহিম বাগমনিরাম সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। মেয়ে ফাহিমা বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কেজি শ্রেণির ছাত্রী।

চট্টগ্রামে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মো. ফারুকসহ এ পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া অন্য দু’জন হলেন- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. ওয়াসিম আকরাম (২২) ও নগরীর ওমরগণি এম ই এস কলেজের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২১)। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত অন্তত ৮০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়