ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের কুমার নদকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে ফের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই দিন নদটিতে মাছ অবমুক্তর পাশাপাশি নদের পাড়ে বৃক্ষ রোপন করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা বাজার এলাকার কুমার নদে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এছাড়াও নদে ময়লা আবর্জনা না ফেলা, চায়না দুয়ারি, কারেন্ট জাল ব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার নেতৃত্বে এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণ ও দুষণ রক্ষার এই কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার জনগণ, মাছচাষীসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও কুমার নদে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণে সহযোগিতা করেন।
পরে বাজারের বর্জ্য নদীতে না ফেলার অনুরোধ করে তাদের মাঝে প্লাস্টিকের ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়। এছাড়া নদের পাড়, বাজার ও স্কুল কলেজ প্রাঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থানে ২'শ বৃক্ষ রোপন করা হয়।
অন্যদিকে, নদের কচুরিপানা অপসারণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, 'কুমার নদে কচুরিপানা জমে থাকায় নদের পানি দূষিত হচ্ছে। তাছাড়া দেশীয় মাছ উৎপাদনে ঘাটতি হয়ে থাকে। এছাড়া নদের পানি অনুপযোগী হওয়ায় কোন কাজে মানুষ সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেনা। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতবছর থেকেই কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণসহ নদের দূষণ রক্ষায় নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। নদকে কচুরিপানা ও দূষণমুক্ত করতে আমাদের এ ধরা অব্যাহত থাকবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামচুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না তাসনিম, গেরদা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মোহম্মদ এমার হক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে ২৭ জুন প্রথমবারের মতো ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুমার নদে কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযান চালানো হয়। তখন নদের তিন কিলোমিটার অংশের ১০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া এবছরের ২ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান চালায় প্রশাসন। অতঃপর সর্বশেষ তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার (১১ জুন) ফের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :