মো. সোহেল, নোয়াখালী: [২] নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর মাকছুমুল গ্রামে জমি চাষাবাদে মো. রফিক নামের এক কৃষকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় হাফিজ উল্যা ও তার সঙ্গীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে। কৃষক রফিকের অভিযোগ, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন তিনি।
[৩] এদিকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এরআগে রোববার বিকালে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে কৃষক মো. রফিক উল্যা।
[৪] কৃষক মো. রফিক অভিযোগ করে বলেন, তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম মাইজদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন গংদের চর মাকছুমুল গ্রামে ২ একর ৮০ শতাংশ জমি বর্গাচাষী হিসেবে চাষাবাদ করে আসছেন। গত শুক্রবার (০৭ জুন) সকালে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে তার চাষাবাদকৃত জমিতে মাটির কাজ করতে যান রফিক। এসময় চর মাকছুমুল গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে বন-জল দস্যু বাহিনীর সদস্য মো. হাফিজ উল্যা ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সুজন, করিম, হারুন ও ফারুক’সহ একাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে জমি চাষাবাদে রফিককে বাঁধা দেন এবং জমি চাষাবাদ করতে হলে তাদেরকে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। চাঁদা না দিলে জমি চাষ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
[৫] এসময় কৃষক রফিক’সহ উপস্থিত শ্রমিকরা তাদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা রফিক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদা না পেলে কৃষক রফিককে হত্যা করে তার লাশ গুমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চাঁদাবাজ হাফিজ উল্যা ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা।
[৬] বর্তমানে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ভয়ে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন কৃষক মো. রফিক।
[৭] জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নোয়াখালীর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :