শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতা ফয়জুল করিমের আওয়ামী লীগে যোগদান: বললেন, ‘শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক’ (ভিডিও) ◈ আরও আগে অভিষেক হলে শচীন টেন্ডুলকার‌কে টপকে যেতাম : মাইক হা‌সি ◈ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রতিদিন ৪০০-এর বেশি সাইবার হামলা, অর্ধেক আসছে চীন–উত্তর কোরিয়া–রাশিয়া থেকে ◈ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতারণা চক্রে স্টারলিংক নতুন অস্ত্র, সাইবার নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাংলাদেশে ◈ আরও ৯ জনের শরীরে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স-সাদৃশ্য উপসর্গ ◈ নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল নিজেই তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা: এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস ◈ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশে সমাধানের বদলে দফায় দফায় সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ◈ সেনা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে অ্যামনেস্টির বিশেষ অনুরোধ ◈ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন পুনর্গঠন: ডিসেম্বরেই হতে পারে ডিসি সম্মেলন ◈ দেশের বাজারে একলাফে সোনার দাম ভরিতে কমলো ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৪, ০৩:৪১ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০২৪, ০৩:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যা, দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

ইফতেখার আলম, রাজশাহী: [২] রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইলফোনের দোকানের কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আরও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

[৩] বুধবার (১৫ মে) রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

[৪] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বাঘার জোতচৌকিপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রকি (২৫)।

[৫] নিহত জহুরুল ইসলামের (২৩) গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। জহুরুল ইসলামের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।

[৬] রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল স্মার্টফোনসেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান। এরপর মোবাইল সেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন। ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়।

[৭] এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মহামান্য আদালত এই রায় ঘোষণা করে। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এ রায়ে বাদিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়