শিরোনাম
◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আধুনিকতায় কদর কমেছে হুক্কার, নেই চাহিদা 

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের সড়ক বাজারের হুক্কা পট্রিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যন্ত্রপাতি নিয়ে গত ১০ বছর আগেও ৭/৮ জন প্রতিদিন হুক্কা তৈরি করতেন। সে সাথে বিক্রি করতেন একই স্থানে বসে। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে এর চাহিদা। বর্তমানে এখানে ১/২ জন হুক্কা তৈরি কারিগরসহ বিক্রেতা চোঁখে পড়ে। 

সরেজমিন হুক্কা পট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের সরু গলির মাথায় ২ জন দুই দিকে বসে হুক্কা তৈরি ও বিক্রি করছেন। হুক্কা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রথমে আমরা নারিকেলের ভেতরের অংশটি পরিষ্কার করে রোদে শুকাই। এরপর ধারালো দা দিয়ে নারিকেলের খোলের বাইরের পুরো ছোবড়া (আঁশ) চেঁছে নেই। তারপর খোলটাকে কালো রঙ দেওয়ার পর রোদে শুকাই। এরপর এতে ছিদ্র করে কাঠের হাতল লাগাই। এভাবেই পুরো একটি হুক্কা তৈরি করি।

হুক্কার কারিগর ও বিক্রেতা নান্নু মিয়া বলেন, বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ৩৫ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। কিন্তু আগের মত হুক্কার তেমন একটা চাহিদা নেই বলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো রকমে টিকে আছি। এখন আর আগের মতো বিক্রি হয় না। প্রতিদিন ৮/১০ টির মত হুক্কা তৈরি করতে পারলেও ৩/৪ টার মত বিক্রি করতে পারি। আমাদের হুক্কা মূলত গ্রাম-গঞ্জের বৃদ্ধ লোকজনই বেশি কিনে থাকে। সিগারেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এখন আর কেউ হুক্কা কিনে না।  প্রতিটি হুক্কা দেড়শ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হলেও বিক্রি করি ১২০ টাকায়। এই আয় দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়।  

আরেক হুক্কা কারিগর জানান, আধুনিক যুগে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিগারেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হুক্কার ব্যবহার কমে গেছে। এক সময় এই স্থানে বসে ১০/১২ জন মিলে হুক্কা তৈরি ও বিক্রি করতেন। দিন দিন এর চাহিদা কমে যাওয়ায় বাকিরা এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।এখন অনেক ঘরের শোপিচ হিসেবে এটিকে ব্যবহার করে থাকে। এজন্য অনেক তরুণ-তরুণী বা পরিবারের লোকজন এ হুক্কা কিনতে আসে মাঝে মধ্যে।  

হুক্কা কিনতে আসা সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া বলেন, আমরা অনেক আগে থেকে এই হুক্কা ব্যবহার করে আসছি। ব্যবহার হুক্কার কাঠের হাতলটা ফেটে গেছে। তাই  একটা হুক্কা কিনেছি। তামাক ব্যবহার বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি জেনেও পুরনো অভ্যাসের কারণে এটি ছাড়তে পারিনা। 

অষ্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, তরুণ বয়স থেকে এই হুক্কা ব্যবহার করে আসছি। জমিতে ধান কাটা লাগায় ধান কাটার শ্রমিকদের জন্য দুইটা নতুন হুক্কা কিনতে হয়েছে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস

প্রতিনিধি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়