ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি বিগত পাঁচ বছরের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস।
[৩] এদিকে কয়েক দিন ধরে অত্যাধিক গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে এ জেলার মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদের কারণে ছাতা ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র গরমে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগের প্রার্দূভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা গরমে নাজেহাল। কেউবা রোদ আর গরম থেকে বাঁচতে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
[৪] ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিগত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস। এদিন ফরিদপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার যেটা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
[৫] ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার শ্রাবণী আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, 'দিনে-রাতে একই রকম গরম লাগছে। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি লেগেই আছে।'
[৬] একই এলাকার হায়দার আলী বলেন, 'গরমে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এখন বোঝা যাচ্ছে গাছের প্রয়োজনীয়তা কতখানি। নগরের যেসব এলাকায় গাছ নেই, সেসব এলাকার রাস্তায় হাঁটাই মুশকিল হয়ে গেছে।'
[৭] হায়দার আলী আরও বলেন, 'ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।'
[৮] ফরিদপুর শহরের মুদি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, 'বেশ কয়েকদিন যাবৎ গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ওপরে নিচে ফ্যান চললেও গায়ে লাগছে না বাতাস।'
[৯] হামিদ খান নামের এক রিকশা চালক বলেন, 'তীব্র গরমে রিকশা চালানো দায় হয়ে গেছে। যাত্রীও তুলনামূলক কম পাচ্ছি।'
[১০] এদিকে কৃষকরা বলছেন, 'রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিচু, ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।'
[১১] ফরিদপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'এমন তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে। তবে, বৃষ্টি নামলে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। এ ছাড়া বর্তমানে রাতে তাপমাত্রা তুলনামূলক কমছে না। ফলে রাতেও অত্যাধিক গরম অনুভূত হচ্ছে।'
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :