শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): [২] রাউজানে কলমপতি এলাকায় কৃষি জমি কেটে মাটি নিয়ে গেছে ইটভাটায়। কিছু দিন আগে যেখানে সবুজ ধান ক্ষেত ছিল, সেখানে এখন তৈরি হয়েছে পুকুর- জলাশয়। জমির মালিক ও কৃষকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে ইটভাটায় ফসলী জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছেন ইটভাটার মালিকরা। আবার কোথাও জমির মারিকদের বাধ্য করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন কমছে জমির উর্বরতা।
[৩] এছাড়া এই ইট তৈরির প্রক্রিয়ায় আগুনের তাপ, ধোঁয়া ও ধুলাবালিতে বাজছে পরিবেশের বারোটা। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাউজানের কলমপিত এলাকায় কে বি এম নামের একটি ইটভাটায় ৮-১০ ফুট গভীরভাবে মাটি কেটে নিয়ে গেছে।
[৪] জানা যায়, গত ২০২১ সালে ওই ইটভাটাটি প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়। কিন্তু গত দুই বছর থেকে এই ফের চালু করেছেন। ওই ইটভাটাটি সৈয়দ হোসেন কোম্পানির বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ইটভাটারা মালিকরা দিন রাত কৃষি জমি ও পাহাড় টিলার মাটি গিলে খাচ্ছে। কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে ফোন করে ভটভাটার মালিক সৈয়দ হোসেন কোম্পানির কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
[৫] উল্লেখ্য কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন, ২০১৫’ নামে আইনটির খসড়া প্রণয়ন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এই আইন অমান্য করলে অনুর্ধ্ব দুই বছর জেল এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে। কিন্তু এই আইন অমান্য করে ফসলী জমির কেটে মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়।
[৬] রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা বেআইনি এবং কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে অনুমতি হয়। যারা কৃষি জমি কেটে মাটি নিয়ে গেছে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :