এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের সব উপজেলায়সহ তীব্র দাবদাহ শুরু হয়। প্রচণ্ড গরমে লাখো মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। গরম আর অসহনীয় তাপে যেন শরীর পুড়ে যাবার অবস্থা প্রায়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।এতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর আবহাওয়া অফিসও এরমধ্যে বৃষ্টির কোনও সুখবর দিতে পারছে না।
[৩] পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ী, গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে নগরের তীব্র গরমে রাস্তার পাশের শরবতের পসরা নিয়ে বসেছে অনেকে। তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা শরবত পান করছেন অনেক পথচারী। তবে যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা কিংবা ফুটপাতের দোকান থেকে শরবত পানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
[৪] বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ফুটপাতের শরবতে অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। এগুলো থেকে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ- টাইফয়েড, ডায়রিয়া, জন্ডিস এসব হতে পারে। ফুটপাতে শরবত খাওয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘ, হরিণ, বানর, ভালুক, ময়ূরসহ প্রতিটি খাঁচার প্রাণীর চোখে-মুখে গরমের তীব্রতার ছাপ। খাঁচার ভেতরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা পানির চৌবাচ্চায় সুযোগ পেলেই নিজের শরীর ভিজিয়ে নিচ্ছে প্রাণীগুলো।
[৫] চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গরম বাড়ার পর পশুপাখির আরামের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের পানিতে ইলেক্ট্রোলাইট মেশানো হয়েছে। খাঁচায় ২৪ ঘণ্টা পানির সাপ্লাই নিশ্চিত করা হয়েছে। গোসলের পানি পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। প্রাণীদের সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি আমরা।
[৬] পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এমন তীব্র গরম আরও দুই-এক দিন থাকবে। ১৮ তারিখ নাগাদ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :