মিজান লিটন: বুধবার ভোরে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে ঈদের আনন্দ স্বজন-প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে যাত্রী বোঝাই লঞ্চগুলো ঘাট এসে পৌছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বর বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মঙ্গলবার থেকেই যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর দু’দিন আগ থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে।
এমভি মিতালীর যাত্রী মফিজুল ইসলাম খান বলেন, অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকতো অনেক। সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। তিনি চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা থেকে আসা মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন। এবারের যাত্রা খুবই আরাম দায়ক হয়েছে। কোন কষ্টই মনে হয়নি।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা কবির হোসেন ঈদ করতে পরিবার নিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন-১৫ লঞ্চের টিকিট পেয়েছি। তবে ঘাটে অনেক ভিড় ছিল,লঞ্চে ঠিকভাবে উঠতে পেরেছি। একা হলে সমস্যা ছিল না, পরিবার নিয়ে এতো ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠতে একটু কষ্ট হয়েছে।
সাধারণত ঈদের সময় সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনার লঞ্চ ছাড়ত। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। সবধরনের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে আধাঘণ্টা পরপর লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই রুটে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।
বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ওঠানোর হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ঈদযাত্রা শুরুর পর মঙ্গলবার থেকে নৌ-পথে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি। তবে সেটা অন্যান্য বছরের মতো নয়।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়েছিল। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে ফিরেছে পূর্বের সেই চেনা ভিড়।
আপনার মতামত লিখুন :