জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চালের টিকেট পেয়েও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাাঁড়িয়ে থেকে চাল না পেয়ে ২৩০জন হত দরিদ্র নারী পুরুষ খালি হাতে ফেরৎ যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন সদস্য। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
[৩] জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ২হাজার ৩১০জন হত দরিদ্র পরিবারের মানুষের জন্য ১০ কেজি করে মোট ২৩ দশমিক ১ মেট্রিকটন স্পেশাল ভিজিএফ এর চাল বরাদ্ধ দেয়। এ চাল বিতরণের জন্য নির্বাচিত হত দরিদ্র পরিবারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত টিকেট প্রদান করা হয়। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ইউনিয়ন পরিষদে এ চাল বিতরণ করা হয়। এ চাল বিতরণের কাজ পিতার পক্ষে তদারকি করেন ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সহিদের পুত্র আবুল বাশার।
[৪] তালিকা ভুক্ত হত দরিদ্ররা জানান, সরকার ১০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দিলেও তাদের ১০ কেজির স্থলে ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। টিকেটধারী ২৩০ জন হত দরিদ্র মানুষকে কোন চাল দেওয়া হয়নি বলে দাবী করেন ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার জহির উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোজাম্মেল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জাবেদ হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ।
[৫] ৮নং ওয়ার্ডের টিকেটধারী জামাল উদ্দিন, মোঃ কালু, ৭নং ওয়ার্ডের কালাম ও ৯নং ওয়ার্ডের ইছমাঈল সহ আরো কয়েকজন জানান, সকাল থেকে তারা চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও দুপুরের পর তাদের জানানো হয় চাল শেষ হয়ে গেছে। তাদের চাল দেওয়া সম্ভব হবেনা। এ সময় চাল না পাওয়া মানুষগুলো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। চাল না পেয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় ইউপি সদস্যদের সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পুত্র আবুল বাশারের কথাকাটাকাটি হয়। তারা জানতে চান সরকারের বরাদ্ধকৃত চাল গেল কোথায়? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু টিকেটধারীকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাদের পরিমাণ ২৩০ জন হবেনা।
[৬] ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পুত্র আবুল বাশার জানান, তার পিতা বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় পিতার পক্ষে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কাজ তদারকি করে থাকেন। চাল বিতরণকালে দলীয় ব্যানারে থাকা কিছু লোক চাল বেশী নিয়ে যাওয়ায় টিকেটধারী কিছু লোক চাল পায়নি। এদের মধ্য হতে ৭০/৮০জনকে চালের পরিবর্তে নিজের পক্ষ থেকে নগদ ২০০ টাকা করে দিয়েছেন।
[৭] এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ব্যাপারটি তিনি জেনেছেন। তদন্ত করে তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস