মুযনিবীন নাইম: [২] অন্যের পাওনা টাকা আদায় করে দিতে দুজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আটকে রেখে তিন দিন ধরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতা ও সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে।
[৩] ছাত্রলীগের ওই নেতারা হলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ তানসেন এবং ওই হলের উপপ্রচার সম্পাদক মোনতাছির হোসাইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদি। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা মোনতাছিরের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মোনতাছির হোসাইনের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন আবদুল জলিল। তিনি টাকা ফেরত দিতে দেরি করছিলেন। ওই টাকা উদ্ধারে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দুইটার দিকে শাহাবুদ্দীন ১০ থেকে ১২ জনের দল নিয়ে আবদুল জলিল ও তার বন্ধু হেফাজ উদ্দীনকে হাতিরঝিলের হাজীপাড়ার বাসা থেকে তুলে প্রথমে বিজয় একাত্তর হল ও পরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রাখেন। ওই দলে ছাত্রলীগের গ্রেপ্তার তিন নেতা ছিলেন।
[৫] আবদুল জলিল ও হেফাজ উদ্দীনের পরিবারের পক্ষ থেকে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় পুলিশের অভিযানে মুহসীন হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাবুদ্দীন ও তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানার পুলিশ।
[৬] আবদুল জলিল বলেন, ‘শাহাবুদ্দীন আমার কাছে ৩৫ লাখ টাকা পান। মাঝে কিছুদিন তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত দুইটায় দলবল নিয়ে আমাকে বাসা থেকে তুলে আনা হয়। আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।’
[৭] হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় হওয়া মামলায় শাহাবুদ্দীন ও অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৮] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি জিরো টলারেন্স। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের থানায় পাঠানো হয়েছে; পাশাপাশি বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
[৯] এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএন/এমটি
আপনার মতামত লিখুন :