মাসুদ আলম: রাজধানীর কমলাপুর, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও এলাকা থেকে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ২৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৮ টি মোবাইলফোন, ৭ টি সুইচ গিয়ার, ২ টি এন্টি কাটার, ৬ টি ব্লেড, ১ টি কাঁচি, চাকু, ক্ষুর, বিষাক্ত মলমের কৌটা, স্বর্ণের চেইন এবং নগদ ৩২৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।
কমলাপুর এলাকা থেকে এক নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে দৌড়ে পালানোর সময় পিছু ধাওয়া করে এক মো. আরিফ হোসেন নামের একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, হাতিরঝিল এবং তেজগাঁও এলাকায় পৃথক অভিযানে চালিয়ে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ইসলাম, বাবু, টিটু, শরিফ, নুরে আলম, মুরাদীল মুস্তাকিম ওরফে মুরাদ, জালাল, হৃদয়, হোসেন ওরফে মোটু, জয়, সুমন, ইয়াছিন রাব্বি, টিটু, পরান, রাসেল, জীবন সরদার, শুক্কুর, সাগর হোসেন, মাসুম খান, মিহির তালুকদার, হোসেন, ফারুক, মেহেদী হাসান রানা, সুজন, জুলহাস, কবির হোসেন, দেওয়ান আলী, ও তৌহিদ হ্ওালাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারী সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কখনও বিষাক্ত চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এভাবে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়।
এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।