মাসুদ আলম: [২] পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটি শেষে সোমবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে রাজধানীতে এখনো ঈদের আমেজ। ফিরে আসেনি রাজধানীর স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। সড়কে নেই যানজট, মানুষের ভিড় ও ভোগান্তি। বিভিন্ন বাস ও রেলস্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের কিছুটা চাপ থাকলেও চিরচেনা রূপে এখনো ফেরেনি ঢাকা।
[৩] সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল বেশ কম। গাড়ি পার্কিং এলাকায়ও ভিড় কিছুটা কম।
[৪] এখনো বন্ধ সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
[৪] সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উত্তরা, ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, পল্টন, মৌচাক, কাকরাইল, রমনা, এলিফ্যান্ট রোড, সাইন্সল্যাবসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম। কোথাও দেখা যায় নি সেই চিরচেনা যানজট। সড়কে রাইড শেয়ারিং বাইকও তেমন নেই। অনেক বিপণিবিতান এখনো বন্ধ। সড়কের পাশের কিছু দোকানপাট খুলেছে। তবে সেগুলো প্রায় ক্রেতাশূন্য।
[৫] সরেজমিনে আরও দেখা যায়, কিছু কিছু খাবার হোটেল খুললেও ক্রেতাদের ভিড় নেই। যারাও আসছেন, খাবার পার্সেল নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
[৬] বেসরকারি চাকরিজীবি আনিসুর রহমান বলেন, খিলগাঁও গোড়ান থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল অফিসে আসতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগতো। আজকে অফিসে আসতে ২০ মিনিটে লেগেছে। সড়কে যানবাহনের চাপ কম। রাস্তার দুই পাশের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। এখনো সড়কে ঈদের আমেজ রয়েছে। রিকসা ও সিএনজি চালকরা ভাড়াও বেশি নিচ্ছে।
[৭] ডিএমপির দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ সরকার বলেন, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তবে সড়কে কোনো যানজট নেই। সড়কে যানবাহনের চাপও কম। সম্পাদনা: ইকবাল
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :