মারুফ হাসান : [২] শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে পৌঁছেই আমরণ অনশনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে ছুটে যান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক।
[৩] মঙ্গলবার রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক এই দুই অধ্যাপক। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। মনযোগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো শুনছেন। একইসঙ্গে অনশন ভাঙার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। প্রিয় শিক্ষককে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
[৪] ড. জাফর ইকবালের আগমনে উজ্জীবিত ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। গভীর রাতে শীতকে উপেক্ষা করে কয়েকশত শিক্ষার্থী অধ্যাপক জাফর ইকবালের কথা শুনছেন।
[৫] আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে ছুটে এসেছেন শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।
[৬] অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা কেন এই সুন্দর জীবন নষ্ট করছো? তোমাদের বাঁচার মতো করে বাঁচতে হবে। তোমরা তো বিজয়ী হয়ে গেছো। সারা দেশের মানুষ তোমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছ।
[৭] ‘জীবন অনেক মূল্যবান। তুচ্ছ বিষয়ে জীবন অপচয় করা যাবে না।’
[৮] ড. জাফর ইকবাল আরও বলেন, ‘আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, তোমাদের যা দাবি সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।
[৯] তিনি বলেন, ‘বাসায় তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা আর দেরি করিনি, সরাসরি চলে এসেছি তোমাদের কাছে। তোমাদের কষ্ট দেখে আর থাকতে পারলাম না। আমরা তোমাদের অনশন না ভাঙিয়ে এখান থেকে যাব না।’
[১০] এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন বলে নিশ্চিত করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
[১১] গত কয়েকদিন ধরে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এ নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি একটি কলাম লিখেছিলেন ড. জাফর ইকবাল।