নিউজ ডেস্ক: ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী একটি পরিবহণের বাস যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুই কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন সুপারভাইজার মো. রুবেল (৫৫)। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। যুগান্তর
শনিবার রাত ১টার দিকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হয়।
জানা যায়, ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে একটি বাস ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই বাসে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার একটি মহল্লার বাসিন্দা মা এবং তার ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরী মেয়ে ছিল। মেয়ে দুটি পাশাপাশি দুই সিটে বসেছিল আর তাদের মা বসেছিলেন পাশের অন্য আসনে।
ভুক্তভোগী দুই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাসটি মানিকগঞ্জে আসার পর দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় রাত হয়ে যাওয়ায় বাসের অনেকেই তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সুযোগে বাসের সুপারভাইজার ওই দুই কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এতে তারা জেগে উঠলে সম্মানের ভয়ে কিছুই বলতে পারেননি।
রাত সোয়া ১টার দিকে বাসটি ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে পৌঁছলে ওই মোড়ে কর্তব্যরত কোতোয়ালি থানা পুলিশদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে দুই কিশোরী। পরে পুলিশ ওই বাসের সুপারভাইজার মো. রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই বাসের ব্যবস্থাপক অরুণ সাহা জানান, সুপারভাইজারের চলন্ত বাসে যৌন হয়রানি করার ঘটনাটি মালিকপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ইতোমধ্যে সুপারভাইজার রুবেলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আবদুল জলিল বলেন, একটি পরিবহণের সুপারভাইজার রুবেলকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই দুই কিশোরীর পরিবার সোমবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা করেনি। তবে কাউকে ২৪ ঘণ্টার বেশি পুলিশ আটকে রাখতে না পারায় তাকে নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :