আবদুন নূর তুষার: ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে মিনিমাম ব্যালেন্স একটি অন্যায়। যে যা পারে সেটাই সঞ্চয় করবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকে এই পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ। এর নিচে তারা সুদ বা লাভ দেয় না। কিন্তু হিসাব খরচ শুল্ক এসব কাটে। একটি ব্যাংক দুই লাখ টাকায় বছরে মোট নয়শো টাকা লাভ দিয়ে নয়শো ষাট টাকা কাটে প্রতি ছয় মাসে। ডেবিট কার্ডের ভাড়া কাটে। তার মানে গ্রাহকের টাকা কমতে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের জন্য সুষম আইন করে না বলে ব্যাংকগুলো গরিব আমানতকারীকে লাভ দেয় না। অথচ তাদের মোট আমানত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের কাছ থেকেই বেশিরভাগ আসে। কারণ বড় আমানতকারীরা একই সঙ্গে ঋণ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অদক্ষতার জন্য কারও চাকরি যেতে পারবে না বলেছে। তার মানে ব্যাংকিং এ অদক্ষতাকে স্থায়ী করা হলো। অন্যদিকে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের উপর মিনিমাম জমা আর নিম্নতম সুদের চক্করে ফেলে শোষণ বন্ধ করার বিষয়ে তাদের মন নেই। কিছু বিদেশি ব্যাংক দুই লাখ টাকার চক্করে ফেলে মধ্যবিত্ত আমানতকারীকে তাদের সঙ্গে ব্যাংকিং করতে নিরুৎসাহিত করছে। এটা একধরনের ইতরামি।
০.৫ শতাংশ সুদে টাকা রেখে সেই ব্যাংক অন্য জায়গায় ৫.৬ শতাংশে আমানত রেখে, শুরুতেই ৫.১ শতাংশ প্রফিট করছে আর মিনিমাম ব্যালান্সের চক্করে ফেলে গ্রাহককে দুই লাখ টাকা কখনোই সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তুলতে দিচ্ছে না। তুললেই লস। তার মানে সব হিসাব থেকে দুই লাখ টাকা সে সহজেই বেশি সুদে রেখে দিতে পারছে। বন্ড কিনতে পারছে। কলমানিতে দিতে পারছে। গ্রাহক এই টাকা ধরতে পারছে না রাষ্ট্রের উচিত এসব দেখা। গরিবের স্বার্থ রক্ষার জন্য রাষ্ট্র। অথচ উল্টোটা চলছে। আমানতকারীর সঞ্চয়ী হিসাবে নিম্নতম মুনাফার পরিমাণ ৪ শতাংশ করা উচিত। কর্মচারীর বেতন ৩৯০০০ ঠিক করে দিলে- যার টাকায় বেতন হয় সেই আমানতকারীর মুনাফা কেন মিনিমাম ব্যালান্সের চক্করে থাকবে? ফেসবুক থেকে