জিয়াবুল হক: [২] দেশের সর্ব দক্ষিণে উপজেলা টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরে দর্শনীয় এলাকার একটি হলো জিরো পয়েন্ট। এমনকি কক্সবাজার নগরীর কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সৈকতের পাশ দিয়ে ইনানী হয়ে চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্ত। ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়ক পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ টেকনাফ জিরো পয়েন্ট দিন দিন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হয়ে উঠছে।
[৩] মেরিন ড্রাইভ সড়কের একপাশে সবুজ পাহাড়, বন জঙ্গল, অন্যপাশে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের গর্জন। সমুদ্রের কোলঘেঁষে কোথাও সোজা, কোথাও আকঁবাঁকা চলা ভিন্ন রকমের মহাসড়ক এই টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ। জেলেদের মাছ শিকার কিংবা সারি সারি জাহাজ দেখা আবার কখনো নোনা বাতাসের ঝাপটা গায়ে মেখে শিউরে উঠা।
[৪] খোলা আকাশ, পাহাড়ী সৌন্দর্যে ও সমুদ্রের ঢেউয়ে মন হারানো পর্যটকের কাছে মেরিন ড্রাইভ এক অন্য রকম আকর্ষণ। সৈকতে প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে সুপারি, নারিকেল গাছ আর ঝাউবন।
[৫] হিমছড়ির পাহাড়ের ওপর থেকে এই দৃশ্য পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এ যেন পাহাড় আর সমুদ্রের সাথে আকশের মিতালি। তবে নির্জন এই সড়কে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন পর্যটকরা।
[৬] ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে সময় লেগেছে ২৪ বছর। ১৯৯৩ সালে কাজ শুরু হওয়া এই মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালে।
[৭] নব্বইয়ের দশকজুড়ে পর্যটকরা টেকনাফ- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীর ধরে যে সড়কটি দেখে আসছিলেন সেটিই এখন মেরিন ড্রাইভ। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভ এটি। যেখানে সমুদ্র, আকাশ আর পাহাড়ের ঘটেছে মহামিলন।
[৮] এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, টেকনাফ পৌর এলাকার জিরো পয়েন্টকে আধুনিক মানের করার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে।