সুজন কৈরী : [২] চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] এদিকে বোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করতে শিমুর বোন ফাতিমা নিশা কেরানীগঞ্জ থানায় অবস্থান করছেন। তবে হত্যা মামলায় দুলাভাইকে আসামি করার বিষয়ে দ্বিধায় পড়েছেন তিনি। বোনকে তার দুলাভাই নোবেল হত্যা করেছেন, সেটি এখনো মানতে রাজি নন তিনি।
[৪] মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানানোর পাশাপাশি নিশা বলেন, আমি এখন থানায় আছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা শেষে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাব বোনের মরদেহ নিতে।
[৫] মামলায় বোনের স্বামীকে আসামি করা হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ফাতিমা নিশা বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। তবে আমরা আলাপ আলোচনা করছি।
[৬] পুলিশ বলেছে, নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। পুলিশকে কোন পরিপ্রেক্ষিতে আমার বোন জামাই একথা বলেছে, তা পুলিশই জানে। হয়তো, পুলিশের কাছে তথ্যপ্রমাণও আছে। তবে আমি আমার বোনের স্বামীর সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। আমি আমার বোনের স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।
[৭] মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনা তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক বিষয় ও দাম্পত্য কলহের কারণে শিমুকে হত্যা করার কথা জানিয়েছেন নোবেল। এরপর শিমুর মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে কেরানীগঞ্জে ফেলতে সহায়তা করেছে নোবেলের বন্ধু ফরহাদ।