[১] আপিল বিভাগে তৃতীয় নারী বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ
মহসীন কবির: [২] এর আগে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দুজন হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি জিনাত আরা। দুজনেই অবসরে গেছেন। সর্বোচ্চ আদালতে তিন জন নারী বিচারপতিই নিয়োগ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা কালে।
[৩] উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুয়ায়ি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ১৯৫৫ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ কলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু মহিলা বিচারক এবং হাইকোর্ট বিভাগের ষষ্ঠ নারী বিচারপতি ছিলেন। তার পিতার নাম শ্রী দিনেশ চন্দ্র দেবনাথ এবং মাতার নাম বেণু দেবনাথ।
[৪] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। এরপর তিনি ১৯৮১ সালের ৮ ডিসেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিসে মুনসেফ হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালের পহেলা নভেম্বর পদোন্নতি পান জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে। ১২ বছর জেলা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান। দুইবছর দক্ষতার সঙ্গে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ইত্তেফাক
[৫] ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড ল’ স্কুলে সার্টিফিকেট কোর্সে অংশ নেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। ১৯৯৬ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে যোগ দেন। ২০১২ সালে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে।
[৬] সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া কৃষ্ণা দেবনাথকে রোববার (৯ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শপথ বাক্য পাঠ করান।