আব্দুম মুনিব: [২] জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] রোববার কয়া আবাসন থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত স্বামী-স্ত্রী আবাসন-২ এলাকার জামাল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৫) ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সনি (২০)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্নহত্যা করেছে।
[৪] সুমনের বাবা জামাল শেখ জানান, তিনি তার ছেলের ঘরের ভেতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে দরজা খুলতে না পেরে স্থানীয়দের সাথে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ছেলের বউকে বৈদ্যুতিক তারে আঙ্গুলে পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান এবং ঘরের আড়ার সাথে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে আবাসনের সভাপতিকে খবর দেন। পল্লী চিকিৎসক এসে তাদের মৃত বলে।
[৫] এ বিষয়ে সুমনের স্ত্রী সোনিয়ার বাবা লিটন হোসেন জানান, ‘আইসক্রিম বিক্রেতা সুমনের সাথে তার মেয়ের চার বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের দু’বছরের একটি ছেলে আছে। তার জামাই ও মেয়ের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। কেন তারা আত্মহত্যা করলো এটা বোঝা যাচ্ছেনা।
[৬] আবাসন সভাপতি আজিবর রহমান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমনের বাবা ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করলে তিনি তাদের বাড়িতে এসে দেখেন সুমনের স্ত্রীর হাতের আঙ্গুলে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে এবং সুমনের নিথর দেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে কুমারখালী থানায় খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যান।
[৭] এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনাটিকে আত্নহত্যা বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে, লাশ ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। সম্পাদনা: শান্ত মজুমদার
আপনার মতামত লিখুন :