শিমুল মাহমুদ, মহসীন কবির: [২] বুধবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আমরা মনে করি আইন, বিচার, সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি হতে পেরেছি আমরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে না ঘটে, সেই প্রত্যাশা করি।
[৩] মামলা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে নৃশংসভাবে হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, এজন্য আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। এর উদ্দেশ্য, যেন সমাজে একটি বার্তা যায়, সবার মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে।
[৪] মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। বুয়েটের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাংশ পড়ালেখা করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে থাকে। সেখানে দুই বছর আগে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় গোটা জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
[৫] তিনি বলেন, একজন ছাত্রকে রাতে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে মারধর করতে থাকেন। রাত ৮ থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্মম মারধরের মাধ্যমে আবরারকে হত্যা করা হয়েছিল। সে ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।