নিউজ ডেস্ক : ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া আলোচিত তরুণী ইশরাত জাহান পাখির মামলায় বর নাজমুল হাসান আকনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। যুগান্তর
সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এ আদেশ দেন।
ইশরাত জাহান পাখির আইনজীবী মো. আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, নাজমুলকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে- এমন অভিযোগে বাদী ইশরাত জাহান পাখির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। প্রকৃতপক্ষে ইশরাত জাহান পাখির সঙ্গে নাজমুলের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ধর্মীয় মতে বিয়ে হয় এবং রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নাজমুল ও পাখির অসম্পূর্ণ কাবিননামা সম্পন্ন করতে রায়ের বাজারের একটি কাজি অফিসে গেলে দেনমোহর নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পরে নাজমুল ও পাখি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে নাজমুলকে অপহরণ করে বিয়ে করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে গত ৩ অক্টোবর পাখির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নাজমুল হাসান আকন। পরে ১২ অক্টোবর যৌতুকের অভিযোগ এনে ইশরাত জাহান পাখি স্বামী নাজমুল হাসান ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন।
পাখির মামলায় আদালত নাজমুল গংদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার আদালতে হাজির হয়ে নাজমুল হাসান জামিনের আবেদন করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, পাখির স্বামী নাজমুল পাখির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা আদৌ সত্য নয় বলে আদালতে প্রতীয়মান হয়। তাই বিচারক নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নাজমুল হাসান আকন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে নাজমুল আকন। ইশরাত জাহান পাখি একই উপজেলার কাকড়াবুনিয়ার গাজীপুর গ্রামের মৃত আউয়াল মাতুব্বরের মেয়ে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, অপহরণ করে জোর করে বিয়ের মামলাটি তদন্তাধীন আছে। শিগগিরই আদালতে অভিযোগ দাখিল করার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবরের দিকে ফিল্মি স্টাইলে নাজমুলকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে ইশরাত জাহান পাখি- এমন একটি আংশিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে চলে নানা মন্তব্য ও দৃষ্টান্ত বিচারের দাবি।