সুজন কৈরী : [২] ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবাসনে গঠিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্ল্যাটফর্মের স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) পরিচালিত পিপিপি প্ল্যাটফর্মটির আওতায় এই স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালাটি ছিলে কর্মশালার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত এ কার্যক্রমের অর্থায়ন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক। এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান এবং পরামর্শ দেওয়া।
কর্মশালার আয়োজকরা পিপিপি প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত সরকারি, বেসরকারি সংস্থা; কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তা এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসন বিষয়ক অন্যান্য দেশের গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধাপের আলোকপাত করেন আইসিএমপিডি’র সিনিয়র প্রোজেক্ট ম্যানেজার গোলডা মাইরা রোমা।
[৪] অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনাধীন প্রত্যাবাসন নীতিমালা ও এর অন্তর্ভুক্ত উপাদনগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশে অফিসের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটোর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন।
[৫] আইসিএমপিডি জানায়, বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে মোট ৩০টির অধিক সংস্থা যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি সরকারি সংস্থা (পাঁচটি মন্ত্রণালয়), ইউএন অর্গানাইজেশন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, বিএমইটি, দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডাররা।