নিউজ ডেস্ক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগ যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ রূপান্তর
সোমবার রাতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তাকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল রাতে বলেন, আমরা আগেই বলেছি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। এখন দেখি তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেন কিনা। না করলে আমাদের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা পদত্যাগের দাবি করিনি। আমরা দাবি জানিয়ে বলেছি তথ্য প্রতিমন্ত্রী নারী বিদ্বেষী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃত ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। এ ঘটনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত ‘ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহীত আচরণ করিব’ মর্মে মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি ক্রমাগতভাবে তার নানাবিধ মন্তব্য, কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা ভঙ্গ করে চলেছেন। জাতি হিসেবে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিমন্ত্রীর মতো একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এসব অযাচিত মন্তব্য জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্কিত করেছে।