খালিদ আহমেদ: [২] ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় শহর থেকে বাসে যেতাম হাফ ভাড়া দিয়ে। সরকার বাস মালিকদের কোনও প্রণোদনা দিতো না। বাস মালিকরাও প্রণোদনা দাবি করেননি। তারা বিনা প্রণোদনাতেই ছাত্রদের হাফ ভাড়া দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
[৩] মন্ত্রী বলেন, ‘একটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী থাকে, সেখানে দুই-তিন-পাঁচ জন ছাত্র থাকে এবং এতে বাস মালিকদের কী অসুবিধা হবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন।’
[৪] রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ ইউনিটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুযোগসন্ধানীদের দলের মধ্যে দরকার নেই। যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ করতে চায়, যারা জায়গা দখল করার জন্য কিংবা দখল করা জায়গা রক্ষার জন্য বা সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ করতে চায়, তাদের দরকার নেই। যারা আমাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য, নীতিতে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ করতে চায়, তাদেরই আওয়ামী লীগে দরকার আছে।’
[৫] তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সরকার সহানুভূতিশীল এবং সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সংস্থা বিআরটিসি’র ভাড়া হাফ করে দিয়েছেন। যারা ছাত্র তারা আমাদের সন্তান, তাদেরও সন্তান। আমি আশা করবো, পরিবহন মালিকরাও তাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
আপনার মতামত লিখুন :