তসলিমা নাসরিন: করোনা কোথায় বিদেয় নেবে, তা না, ধারালো দাঁত, নখ নিয়ে আবার আসছে কামড়ে খামচে সর্বনাশ করতে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম বি-ওয়ান ওয়ান পাঁচশো উনত্রিশ। ভ্যাকসিন নাকি একে দমাতে পারে না, আগেরগুলোর চেয়ে এ বেশি সংক্রামক, বেশি ভয়ঙ্কর। এসব আর কাহাতক সহ্য হয়। করোনা বাহান্ন লাখের চেয়ে বেশি মানুষের জীবন নিয়েছে। এ যেন যথেষ্ট নয়। তার আরও চাই। বেঁচে থাকাগুলো দিনদিন নড়বড়ে হয়ে উঠছে আরও।
নির্বাচিত মন্তব্য : সাধন বিশ্বাস-বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ ভাঁওতা- করোনা। করোনায় মৃত্যুর হার অতি নগণ্য। যারা মারা গেছেন, বেশিরভাগই কোমরবিডিটি। করোনার নামে তাদের আসল রোগগুলোর চিকিৎসা সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে মৃত্যু। কর্পোরেট ফার্মেসির বিরাট মুনাফার শিকার আমরা সবাই। সরকার এবং কিছু টাউট চিকিৎসাবিদ, বিজ্ঞানী এবং ল্যাবগুলোকে কমিশন খাইয়ে বিপুল মুনাফা কামানোর জন্য ‘তৈরি করা আতঙ্ক’। আরও অনেক রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অঙ্ক আছে। লাগাতার ভ্যাকসিন বেচার কৌশলে আমরা পা দিয়ে ফেলেছি (যদিও আমরা এখনো পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন থেকে দূরে আছি)। লাগাতার মুনাফার কারণে করোনার নানান ভেরিয়েন্টের গল্প জিইয়ে রাখতে হবে তো!
রায়হান সোবহান করোনার মিউটেশন চলতেই থাকবে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে, তার জন্য নতুন ভ্যাকসিন আসবে, আবার ভ্যাকসিন প্রতিরোধী নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে। এভাবে চলতেই থাকবে। সারভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট নীতিতে যেসব মানুষ বেঁচে থাকবে, তাদের জিনও মিউটেশন হয়ে করোনা প্রতিরোধী হবে। Taslima Nasrin-র ফেসবুক পেজে লেখাটি পড়ুন।