সৈয়দা অনন্যা রহমান: [২] বুধবার সকাল ১০:৩০ “ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট” এর উদ্যোগে আইন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘনকারী তামাক কোম্পানীগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার আহবান জানিয়ে রায়েরবাজার এবং শংকর বাসষ্টান্ডের পাশ্ববর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
[৩] সারাদেশে ব্যাপকহারে যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে তরুণদের তামাক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহৎ দুটি তামাক কোম্পানীর পক্ষ থেকে নিয়োজিত কর্মীদের নানা উপায়ে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রর্দশন এবং ক্যাম্পেইন পরিচালনার করতে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের বিধান রেখে সরকার ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অবমাননা করে তামাক কোম্পানীগুলো আগ্রাসীভাবে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার অব্যহত রেখেছে। তামাকপণ্য বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদাণ এবং আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও নানা ধরনের অফার প্রদানের মাধ্যমে তরুণদের তামাক সেবনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তরুণদের মাধ্যমে পরিচালিত ক্যাম্পেইনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং আইন লংঘনের ফলে এর শাস্তির বিধান সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
[৪] ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান এর নের্তৃত্বে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন নাজমুন নাহার, প্রমা সাহা, মো. আরিফ হোসেন, ট্রিজা কৃষ্ণা গমেজ, মো. সাগর আবু হুরায়রা, রাকিবা রিমাসহ প্রমুখ। কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে দোকানের মালিকগণ স্ব-ইচ্ছায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের দোকান থেকে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারন করেন। এসময়ে আশেপাশে অবস্থিত দোকানের ক্রেতা এবং পথচারীরা এই ক্যাম্পেইনটিকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন করেন।