লালমনিরহাট প্রতিনিধি: [২] নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এক সদস্য প্রার্থীর ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় বিচার চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য পদপ্রার্থী মনিরুল ইসলাম (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে ভোটমারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে। ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য পদপ্রার্থী মনিরুল ইসলাম ওই এলাকার হাছাব আলীর ছেলে। তিনি ভোটমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের সদস্য পদপ্রার্থী।
[৩] অভিযোগে জানা গেছে, কৃষক মনিরুল ইসলাম আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বাড়ির পাশে থাকা আব্দুর রহিমের জমি বর্গা নিয়ে ভুট্টার চাষাবাদ করেন। আসন্ন নির্বাচনে একই পদে টিউবওয়েল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুর রহিম। রহিম সদস্য পদপ্রার্থী হয়ে তার বর্গাচাষি প্রতিদ্বন্দ্বি মনিরুল ইসলামকে নির্বাচন থেকে সরে আসতে আহ্বান করেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় মনিরুল নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যান।
[৪] এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুরের নির্দেশে তার প্রতিবেশী নুরল হকের ছেলে নমরুল হক গংরা বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে তার ৯২ শতাংশ জমির ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে অনুমান ৪০ শতাংশ ক্ষেতের গাছ কেটে ফেলে। এ সময় ওই জমিতে থাকা একটি সেচের শ্যালো মেশিনও ভেঙে দেয়। বিষয়টি জানতে পেয়ে এর প্রতিবাদ করলে নমরুল হক গংরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে রক্ষা পান বর্গাচাষি ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মনিরুল। এরপর জমিতে এলে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে যায় হামলাকারীরা।
[৫] এতে ভুট্টা ক্ষেতসহ তার ৭২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে উল্লেখ করে বিচার চেয়ে নমরুলকে প্রধান এবং প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুর রহিমসহ আট জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বর্গাচাষি মনিরুল।
[৬] বর্গাচাষি মনিরুল বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে ভুট্টা ক্ষেতের কী সম্পর্ক? নির্বাচনের প্রতিপক্ষ আমি। আমাকে মারতে এবং ভোটে পরাজিত করতে না পেয়ে আমার ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
[৭] অভিযুক্ত নমরুল ও আব্দুর রহিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে আব্দুর রহিমের ভাতিজা ওই মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বলেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। দু’পক্ষেরই ক্ষতি সাধন হয়েছে।
[৮] কালীগঞ্জ থানা ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।