সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে তিন বোন নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থী।
[৩] নিখোঁজরা হলেন- বড় বোন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকেয়া (১৮), মেজো বোন জয়নব আরা (১৭) ও ছোট বোন খাদিজা আরা (১৬)। মেজো বোন জয়নব আরা ও ছোট বোন খাদিজা আরা এবার একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
[৪] নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী টিকটকে আসক্ত ছিলেন এবং বাসা থেকে যাওয়ার সময় তারা ব্যাগে পিএসসি, জেএসএসসির সার্টিফিকেট, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
[৫] বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পরপরই তারা আদাবরের শেখেরটেকের পিসিকালচারের খালার বাসা থেকে বের হয়। এ ঘটনায় তাদের খালা সাজিদা নওরীন আদাবর থানায় জিডি করেছেন।
[৬] খালা সাজিদা নওরীন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বড় বোন তিন বছর আগে মারা যান। আর দুলাভাই অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। খিলগাঁওয়ে আমার ছোট বোনের বাসায় থাকতো তিন ভাগ্নি রোকেয়া, জয়নব আরা ও খাদিজা আরা। জয়নব ও খাদিজার এসএসসির পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ধানমন্ডি গার্লস হাইস্কুলে। সে কারণে আদাবরে আমার বাসায় এসে তারা দুজন পরীক্ষা দিচ্ছিল। গত ১৫ নভেম্বর একটি পরীক্ষা হয়েছে। আরও দুটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ তারা তিনজন একসঙ্গে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়।
[৭] তিনি আরো বলেন, নিখোঁজের পরপরই আদাবর থানায় গেলেও পুলিশ জিডি বা মামলা না নিতে চায়নি। আমার কান্নাকাটি দেখে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর জিডি লিপিবদ্ধ করে পুলিশ।
[৮] তার তিন ভাগ্নি টিকটক ও ইনস্টগ্রামে আসক্ত ছিলো জানিয়ে সাজিদা নওরীন বলেন, টিকটকের মাধ্যমে কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়েছে বলে ধারণা করছি। তারা যাওয়ার সময় তাদের পিএসসি, জেএসএসসির সার্টিফিকেট, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। বয়স কম হওয়ায় তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করতাম। তারা আমাদের মোবাইল ছাড়া অন্য কোনো মোবাইল ব্যবহার করতো না। তবে তারা লুকিয়ে কোনো মোবাইল ব্যবহার করতো কিনা তা আমরা জানি না। তারা যেন নিরাপদে ফিরে আসে এটাই আমার চাওয়া।
[৯] আদাবর থানা এসআই আব্দুল মোমেন বলেন, ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা তিনজন ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান শনাক্তে কাজ করছি।
[১০] এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্লবী থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সনদ নিয়ে নিখোঁজ হন তিন কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিশার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ বাদী হয়ে কয়েকজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন।
[১১] নিখোঁজের ৫ দিন পর ৬ অক্টোবর মিরপুরে প্রবেশের সময় তাদের উদ্ধার করে র্যাব-৪ এর একটি টিম। এরপর তাদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :