নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বাবা আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ ছালমা খাতুনকে (২১) নিয়ে যায়। এ ছাড়া রান্নাঘরে থাকা একটি রেস্তোরাঁ থেকে আনা দুটি খাবারের প্যাকেট ও বোতলের জুস পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, সব বিষয় মাথায় নিয়ে বাবা-ছেলের মত্যৃর ক্লু খোঁজা হচ্ছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। রান্নাঘরে থাকা একটি রেস্তোরাঁ থেকে আনা দুটি খাবারের প্যাকেট ও বোতলের জুস পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাবা ও সন্তানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হবে।
তিনি বলেন, দুটি মুঠোফোন ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। থানা-পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছালমা খাতুনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল কাইয়ুম সরদারের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালের খামার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন। শহরের নাগড়া এলাকার বাসায় স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতেন।
আবদুল কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমা খাতুনের ভাষ্য, প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাতে খাবার খেয়ে তারা এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোর ৫টায় জেগে উঠে পাশের কক্ষে একটি ফ্যানের সঙ্গে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি রশি কেটে লাশ দুটি নামিয়ে ফেলেন। এরপর বাসার দরজা খুলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন।