শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাইবার স্পেসে নারীর নিরাপত্তায় নারী পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। আর এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা। তারাই সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এ অবস্থায় নারীদের সেবা দিতে গত বছরের ১৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা করা হয় পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ)। জাগো নিউজ

[caption id="attachment_1514348" align="alignnone" width="735"] cyber[/caption]

সাইবার অপরাধের শিকার নারীরা যাতে সহজে ও নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে ও প্রতিকার চাইতে পারেন, সে জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় পিসিএসডব্লিউ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪১ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানি সংক্রান্ত যোগাযোগ করেছেন এই সেলে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে পরিচালিত নারীরা এখন হটলাইন নম্বরে, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এবং ই-মেইলে অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে সম্প্রতি পিসিএসডব্লিউর অধীনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত হতে যাচ্ছে। সাইবার হয়রানির শিকার নারীদের দ্রুত সহায়তা দিতে পুলিশ সদরদপ্তর একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) টুল চালু করতে যাচ্ছে। এই এআই নিয়ন্ত্রিত বট নারীদের কাছ থেকে দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন অভিযোগ গ্রহণ করবে এবং জরুরি ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে একটি অ্যালার্ম বাজাবে।

এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে ওই বটে নির্দিষ্ট ম্যাসেজের জন্য কোড দেওয়া থাকবে। কোনো নারী যদি ওই নির্দিষ্ট ধরনের ম্যাসেজ পাঠান তাহলে বট অ্যালার্ম বাজাবে।

[caption id="attachment_1514349" align="alignnone" width="735"] সাইবার নিরাপত্তা[/caption]

পুলিশ সদরদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার ১২ হাজার ৬৪১ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ জিডি বা মামলা করেছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৭ হাজার ২৮০ জন সেবাপ্রত্যাশী যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে হয়রানি-সংক্রান্ত ১২ হাজার ৬৪১ অভিযোগের মধ্যে আট হাজার ২২১ জনকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

পিসিএসডব্লিউ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত অভিভাবক ও পরিবারকে না জানানো, লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে, আইনগত প্রকিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় এবং পরবর্তীতে পুনরায় হয়রানির আশঙ্কায় সাইবার অপরাধের শিকার হয়েও ভুক্তভোগীদের অধিকাংশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান না।

এক বছরে যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে হয়রানি করার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি, যা মোট অভিযোগের ৪৩ শতাংশ বা পাঁচ হাজার ৪৭৫ জন। এ সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে এক হাজার ৮৮৪ জন নারীকে। আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা হয় ৯৯২ জনকে। অন্যান্য উপায়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক হাজার ৫১৮ জন।

অভিযোগকারীর শতকরা ১৬ ভাগ ১৮ বছরের কম বয়সী। শতকরা ৫৮ ভাগ ভুক্তভোগীর বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর। ২৫-৩০ এর মধ্যে ভুক্তভোগী ২০ ভাগ এবং ৬ ভাগ ভুক্তভোগীর বয়স ৪০ বছরের বেশি।

ঢাকা বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুক্তভোগী এই সেলে অভিযোগ করেছেন, যা মোট অভিযোগের ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৭ শতাংশ, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ, বরিশাল থেকে ৩ শতাংশ ও ময়মনসিংহ থেকে ২ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।

সাইবার অপরাধের শিকার নারী ভুক্তভোগীদের সেবা প্রদানকারী এই ডেস্কের নারী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের সময় ভুক্তভোগীরা তাদের সমস্যা-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ প্রদান করতে চান না। তারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি বন্ধ বা কন্টেন্ট ডিলিট করতে আগ্রহী থাকেন। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।

কিছু অভিযোগ থাকে সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ-সংক্রান্ত। সেগুলো গুরুত্বসহকারে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার হেল্প ডেস্কের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগগুলোর বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়