শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শায়লা রহমান তিথি: ডাবল জিরো!

শায়লা রহমান তিথি: ২০০৮ সালের কথা। একটা প্রাইভেট চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। চেয়ারম্যান স্যার আমার মৌখিক ইন্টারভিউ নেওয়ার পর বললেন, তুমি পরশু থেকে জয়েন করতে পার। তবে তোমার বড় একটা সমস্যা আছে। তা যদি কাটিয়ে উঠতে না পার তবে মানুষ তোমাকে পেয়ে বসবে। এমনকি তোমার নীচের পোস্টে যারা কাজ করবে, তারাও তোমার অর্ডার মানতে চাইবে না।

তারপর কিছুক্ষণ স্যার চুপ। আমিও চুপ। মনের মধ্যে ভয় আর একধরনের অস্বস্তি কাজ করছিলো। অল্প সময় পরই স্যার বলতে লাগলেন, আমি ১৫ মিনিট যাবৎ তোমার ইন্টারভিউ নিচ্ছি কিন্তু একবারের জন্যও তোমার সাথে আই কন্টাক্ট করতে পারিনি। যেখানেই কাজ করো না কেন, একটা কথা সবসময় মেনে চলবে তাহল চেয়ারম্যান হোক, এমডি হোক, সহকর্মী হোক, পিয়ন বা দারোয়ান হোক-সরাসরি সবার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবে। আমি তোমাকে আমার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবো বলে তুমি আমার কাজ করতে বাধ্য। আর আমিও মাস শেষে তোমাকে টাকা দিতে বাধ্য আমার কাজ করবে বলে। একদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমরা দুজনেই দুজনের অধিনস্ত। কাজেই চোখ নীচের দিকে নামিয়ে কথা বলে নিজেকে ছোট প্রতিপন্ন করার কোনো কারণ নেই।

স্যারের কথাগুলো সেদিন খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম, কিন্তু এর গুরুত্ব ততোটা বুঝতে পারিনি যতোটা বুঝতে পারি এখন। স্যার বেঁচে থাকলে সমাধান চাইতাম। বলতাম, স্যার আমি এখনো কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারি না। মানুষ একদিকে আর আমার চোখ আরেক দিকে। ফলাফল তাই ডাবল জিরো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়