খালিদ আহমেদ: [২] গত বছরের ২ এপ্রিল সশরীরে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তা আর হয়নি।
[৩] ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হাতিরঝিল থানায় জনৈক আসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ জামিন স্থগিত করেন।
[৪] চেম্বার জজের স্থগিতাদেশ থাকার পরও গত বছরের ২ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক কামরুন্নাহার তাকে জামিন দেন।
[৫] বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি আদালতকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিতাদেশ থাকার পরও আসামিকে নিম্ন আদালতের জামিন দেওয়াটা আদালত অবমাননার শামিল। এভাবে জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
[৬] প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওই মামলার নথি তলব করেন। এরপরই আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঁইয়া তাৎক্ষণিক মামলার নথি নিয়ে আসেন। নথি পর্যালোচনা করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ দেখেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশেও আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এরপরই আপিল বিভাগ বিচারককে তলব করেন।