শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ০২:১২ রাত
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ০২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রউফুল আলম: প্রতিবেশীরা কী করে জ্ঞান-গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাবার মতো দশটা মানুষ সমাজে খুঁজে পাওয়া দায়

রউফুল আলম: ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভারতের সকল ইউনিভার্সিটিতে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য পিএইচডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। কিন্তু করোনার কারণে এই নিয়মে সংশোধনী এনে দুই বছর বর্ধিত করা হয়। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য পিএইচডি বাধ্যতামূলক। তবে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করারও বহু আগেই ভারতের আইআইটি (ওওঞ) ও প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতার জন্য পিএইচডি লাগতো। শুধু পিএইচডি থাকলেই হতো না। পোস্টডক্টরাল গবেষণার অভিজ্ঞতা লাগতো। খ্যাতনামা জার্নালে গবেষণা আর্টিকেল থাকতে হতো। খ্যাতনামা প্রফেসরদের অধীনে কাজের অভিজ্ঞতা লাগতো। বয়সেও তরুণ হতে হতো (সাধারণত পঁয়ত্রিশের কম)। আইআইটি-মুম্বাই এবং রুরকির কয়েকজন গবেষককে আমি চিনি যারা আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে পিএইচডি/পোস্টডক করেছিলো। তাদের তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেখানে শিক্ষক হতে হয়েছে।

ভারত যে জ্ঞান-গবেষণায় বহুদূর এগিয়ে যাচ্ছে, তার বড় কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শক্ত মাপকাঠি। মোদির রাজনীতি করে, হাবিজাবি গবেষণা দিয়ে কোনো আইআইটিতে কেউ সেখানে চাকরি পাবে না। ভারত জানে, তাকে চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। আইআইটিগুলো যে পৃথিবীর বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাঘা বাঘা কর্মকর্তা তৈরি করেছে সেটা এভাবে হয়নি। আজকে ভারতের সঙ্গে কোলাবোরেটিভ রিসার্চের জন্য ইউরোপ-আমেরিকা এগিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেই আমার ফিল্ডে সেসব নমুনা দেখেছি। ভারতে কি অভাবী মানুষ কম আছে? হাভাতে মানুষ কম আছে? কিন্তু সেই দেশ কতো শক্ত একটা নিয়ম সারাদেশের জন্য চালু করতে যাচ্ছে। সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি বাধ্যতামূলক করা, সহজ কথা নয়। শিক্ষায় তারা ইউরোপ-আমেরিকারকে অনুসরণ করে। তাদের পথ ধরে হাঁটবে। আমরা পাশের বাড়ির ভালো কাজগুলো অনুসরণ করতে পারতাম। কিন্তু সেটা কেন করবো? তারা কী করে জ্ঞান-গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে সে নিয়ে ভাবার মতো, বলার মতো দশটা মানুষ সমাজে খুঁজে পাওয়াই এখন দায়। আফসোস। Rauful Alam-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়