রউফুল আলম: ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভারতের সকল ইউনিভার্সিটিতে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য পিএইচডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো। কিন্তু করোনার কারণে এই নিয়মে সংশোধনী এনে দুই বছর বর্ধিত করা হয়। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য পিএইচডি বাধ্যতামূলক। তবে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করারও বহু আগেই ভারতের আইআইটি (ওওঞ) ও প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতার জন্য পিএইচডি লাগতো। শুধু পিএইচডি থাকলেই হতো না। পোস্টডক্টরাল গবেষণার অভিজ্ঞতা লাগতো। খ্যাতনামা জার্নালে গবেষণা আর্টিকেল থাকতে হতো। খ্যাতনামা প্রফেসরদের অধীনে কাজের অভিজ্ঞতা লাগতো। বয়সেও তরুণ হতে হতো (সাধারণত পঁয়ত্রিশের কম)। আইআইটি-মুম্বাই এবং রুরকির কয়েকজন গবেষককে আমি চিনি যারা আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে পিএইচডি/পোস্টডক করেছিলো। তাদের তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেখানে শিক্ষক হতে হয়েছে।
ভারত যে জ্ঞান-গবেষণায় বহুদূর এগিয়ে যাচ্ছে, তার বড় কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শক্ত মাপকাঠি। মোদির রাজনীতি করে, হাবিজাবি গবেষণা দিয়ে কোনো আইআইটিতে কেউ সেখানে চাকরি পাবে না। ভারত জানে, তাকে চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। আইআইটিগুলো যে পৃথিবীর বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাঘা বাঘা কর্মকর্তা তৈরি করেছে সেটা এভাবে হয়নি। আজকে ভারতের সঙ্গে কোলাবোরেটিভ রিসার্চের জন্য ইউরোপ-আমেরিকা এগিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেই আমার ফিল্ডে সেসব নমুনা দেখেছি। ভারতে কি অভাবী মানুষ কম আছে? হাভাতে মানুষ কম আছে? কিন্তু সেই দেশ কতো শক্ত একটা নিয়ম সারাদেশের জন্য চালু করতে যাচ্ছে। সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি বাধ্যতামূলক করা, সহজ কথা নয়। শিক্ষায় তারা ইউরোপ-আমেরিকারকে অনুসরণ করে। তাদের পথ ধরে হাঁটবে। আমরা পাশের বাড়ির ভালো কাজগুলো অনুসরণ করতে পারতাম। কিন্তু সেটা কেন করবো? তারা কী করে জ্ঞান-গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে সে নিয়ে ভাবার মতো, বলার মতো দশটা মানুষ সমাজে খুঁজে পাওয়াই এখন দায়। আফসোস। Rauful Alam-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।