শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২১, ০৮:৪৬ রাত
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁ, জনপ্রতি খেতে লাগে ২ লাখ টাকা

নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ সাবলিমোশন। স্পেনের ইবিজা দ্বীপে অবস্থিত বিখ্যাত এই রেস্তোরাঁটি। এখানে খেতে আসলে জনপ্রতি খরচ হয় প্রায় দুই হাজার ৩৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই লাখ টাকা।

রেস্তোরাঁটিতে আসা মানুষকে চারপাশের পরিবেশ ও শব্দের মেলবন্ধন করে সুস্বাদু সব খাবার পরিবেশন করা হয়। তাদেরকে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির দুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রেস্তোরাঁটি বছরে মাত্র চার মাস খোলা থাকে। স্পেনের গ্রীষ্মে প্রতিদিন মাত্র দুইবার ডাইনিংয়ের সুযোগ পান আগতরা। প্রতিবার মোট ১২ জন অতিথি প্রায় তিনঘণ্টা ধরে উপভোগ করেন ২০ ধরনের স্পেশাল সব খাবারের মেনু।

রেস্তোরাঁটিতে আগে থেকে বুকিং দেওয়া অতিথিদের নিয়ে আসা হয় রেঞ্জ রোভার গাড়িতে করে। রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই অভ্যর্থনা কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় অতিথিদের। সেখানে টিকিটের পাশাপাশি অতিথিদের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপিটাইজার দেওয়া হয়। এরপর সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ডাইনিংয়ে। বিশাল আকৃতির ডাইনিং রুমে টেবিলসহ চার দেয়ালের সম্পূর্ণ অংশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে মোড়া।

রুমের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত পুরোটাই ব্যবহার করা হয়েছে ডিজিটাল স্ক্রিন। ডাইনিং টেবিলটি লেজার লাইট প্রজেকশনের প্রভাবে দেয়ালের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। ফলে অতিথিদের তখন মনে হয় তারা অন্য কোনো স্থানে বসে খাবার উপভোগ করছেন।

রুমে ঢোকার সময় তাদের পরিয়ে দেওয়া হয় ভিআর হেডসেট। যার সাহায্যে মনোমুগ্ধকর কাল্পনিক পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারেন অতিথিরা। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছেমতো বিশ্বের যেকোনো দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করাসহ স্কাই ডাইভিং কিংবা রোলার কোস্টারে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।

পাশাপাশি রুমের মধ্যে সমুদ্র তলদেশের আবহ তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে গভীর সমুদ্রের শব্দ ব্যবহার করে এক প্রকার বাস্তবিক সামুদ্রিক আবহ তৈরি করা হয়। এছাড়া চলন্ত রেলগাড়ি বা উড়োজাহাজের ভেতরের আবহ সৃষ্টি করে তারা তাদের খাবার উপভোগ করতে পারেন। পরে সবাইকে সার্কাসের রঙের দুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় চোখ ধাঁধানো দৃশ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে।

রেস্তোরাঁটিতে শেফ থেকে শুরু করে শিল্পী, জাদুকর, ডিজে এবং টেকনিশিয়ানসহ মোট ২৫ জন অতিথিদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। এরকম কাল্পনিক আবহে খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে টাকা খরচ করতে কেউই কার্পণ্য করবেন না নিশ্চয়ই। হাজার হোক, শখের তোলা যে আশি টাকা।

সূত্র: ডেইলি মেইল, ওয়েলদি গরিলা.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়