শাহীন খন্দকার: [২] দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটেন তৃতীয় দিনেও কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। বাড়ির ফিরতে এখন ট্রেন-ই বেশিরভাগ মানুষের একমাত্র বিকল্প। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে ২৬টি অতিরিক্ত কোচ দেয়া হয়েছে। তারপরও সব রুটের টিকেট বিক্রি শেষ। এখন স্ট্যান্ডিং টিকেট দেওয়া হচ্ছে। তবে, সেটিও একটি সীমা আছে।
[৩] ৭১ টিভি সংবাদে প্রকাশ, হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া এই যাত্রী চাপ সামাল দিতে রোববারও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে ২৬টি অতিরিক্ত বগি যোগ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৭নভেম্বর যাত্রীদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে বেশি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
[৪] এদিকে ট্রেনের টিকেট কাটতে সকাল থেকেই কমলাপুর ট্রেনস্টেশনে ভীড় করতে শুরু করেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় তারা বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রেনপথকে। বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে চরম দুর্ভোগ সাথে নিয়ে টিকেটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন নারী-পুরুষরা। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরেও গেছেন।
[৫] টিকেটের জন্য এমন হাহাকার পরিস্থিতিরই সুযোগ নিয়েছেন কাউন্টারে থাকা টিকেট বিক্রেতারা। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রতি টিকেটে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। বিষয়টি নিয়ে টিকেট বিক্রেতাকে প্রশ্ন করতেই তিনি রেগে যান। বিষয়টি নজরে এসেছে রেল কর্তৃপক্ষেরও। পরে দুঃখপ্রকাশ করেন সেই টিকেট বিক্রেতা।