মনজুরুল হক: ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়লো। সকাল থেকেই (৪ নভেম্বর) দেশের সকল বাস ভাড়া ৪/৫ টাকা প্রতি কিলো বেড়ে যাবে। আজ রাত ১২টার আগ পর্যন্ত বিআরটিএ নির্ধারিত প্রতি কিলোমিটার বাস ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা ছিলো। কেউ কি কখনো দেখেছেন, বাসে এই হারে ভাড়া নিতে? না। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। ঢাকার গুলিস্তান থেকে কুড়িল বিশ্বরোড ১২ কিলোমিটার। ভাড়া হয় ১.৭০ী১২=২০.৪০ টাকা। লক্কড়ঝক্কড় লোকাল বাসেও ভাড়া নেওয়া হয় ৩০ টাকা। এসি বাসে ৬০ টাকা। এ রকম প্রত্যেকটা রুটেই দেড়গুণ ভাড়া নেওয়া হয়। পাবলিক হল্লাচিল্লা করে, গালি দেয়। তার পর সুড়সুড় করে টাকা দিয়ে নেমে যায়।
এবার ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহামহিম ‘কর্তৃপক্ষ’ ৫০ পয়সা ভাড়া বাড়িয়ে নিতে বলেছে। মানে ২ টাকা ২০ পয়সা প্রতি কিলো। কাল থেকেই দেখা যাবে কোনো বাস, পিকআপ, অটো সিএনজি চালিত নয়! সবই ডিজেলে চলে! এমনকি বাইক রাইডারও ভাড়া বাড়িয়ে দেবে, কারণ বাইকও ডিজেলে চলে! (গালিটা হিডেন রইলো)। আর যেহেতু সকল ট্রাক ডিজেলচালিত, তাই ট্রাক ভাড়া বেড়ে সকল দ্রব্যমূল্য বাড়বে। কতো বাড়বে? সে কথা আর বলে কী হবে? বাজারে গেলেই টের পাবেন। ও হ্যাঁ, ব্যাখ্যাটা শোনবেন না? ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।’ এইসঙ্গে আরও একটি তথ্য মনে করিয়ে দিই- গত ৭/৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে ধস নেমেছিলো। ৩৫ ডলারে নেমেছিলো ব্যারেল। সে সময় বাংলাদেশে পেট্রোল-অকটেন ৫০ টাকা বিক্রি করলেও সরকারের লাভ থাকতো। তারা দাম কমায়নি। তখন অজুহাত ছিলো- ‘আগে অনেকদিন ধরে পেট্রোবাংলা ভর্তুকি দিচ্ছিলো। এখন দাম কমায় সেই লোকসান সমন্বয় করা হচ্ছে।’ নো কমেন্টস।