শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মনজুরুল হক: ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিপক্ষকে খুশি রাখতে গিয়ে কী হচ্ছে?

মনজুরুল হক
Fragile! Handle with care! কথাটা সাধারণত কাচের কোনো জিনিসের গায়ে লেখা থাকে। অর্থাৎ ভঙ্গুর বস্তু, সাবধানে ব্যবহার করুন। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মানুভ‚তিকে শাসকরা এতোটাই Fragile করে রেখেছে যেন ছুঁলেই ভেঙে পড়বে! ‘শাসকরা ভঙ্গুর করে রেখেছে’ একটি আইন দিয়ে, যার নাম ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’। এই আইনটি বহালের পর থেকেই যে কোনো অজুহাতে ‘ধর্ম অবমাননা’র অজুহাত ওঠছে। জমি দখল, বাড়ি দখল, ব্যক্তিগত শত্রতা, গোষ্ঠীগত শত্রæতা, ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা, প্রেমে সাড়া না দেওয়া, অবৈধ্য সুবিধা হাসিল, এমনকি খেলায় হেরে যাওয়ার জন্যও ধর্ম অবমাননার মামলা হচ্ছে। এ এক অপ্রতিরোধ্য হাতিয়ার। ক্রিমিনালরা বুঝে গেছে কোনোমতে একবার ধর্ম অবমাননার সুর তুলতে পারলেই হলো, কেল্লা ফতে। ‘অমুকের পাশে আছি’, ‘তমুকের মুক্তি চাই’, কথাগুলো সেই ব্যক্তিকে হয়তো খানিকটা আশ্বস্ত করছে, কিন্তু নিরাপদ করছে না। আজকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ না থাকলেও ধর্ম অবমাননার ভুরি ভুরি কেস হতো, কিন্তু সেসব হতো সাধারণ আইনে, যেখানে ‘অভিযুক্তের’ কথাও শোনা হতো। এখন এই আইনটি কার্যকর থাকায় ‘সরকারের লোক নন’ এমন যে কাউকে যে কেউ ফাঁসিয়ে দিতে পারে।

তাই সবার আগে দাবি তুলুন- ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিল করতে হবে। কী ভেবেছেন, বিএনপি বা আর কেউ ক্ষমতায় আসলে আইনটি থাকবে না? আলবত থাকবে।

আরও কঠোর বিধি যোগ হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহারে র‌্যাব তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলো। বিএনপি আমলে ‘ভ্যাট’ চালু হলে আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছিলো। কই, তারা বাতিল করেছে? বইমেলায় যেন ধর্ম বিষয়ে বিতর্কিত কোনো বই না আসে সে জন্য পুলিশ দিয়ে স্টলে স্টলে তল্লাশি করা হয়। কোনো একটি নাম কীভাবে লিখতে হবে তাও নির্ধেশ দেওয়া হয়। সাহিত্য, কবিতা, গান, সিনেমা, নাচ, কার্টুন, যাত্রাপালা, চায়ের দোকান, অফিসের টেবিল, বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে, পথে-ঘাটে সর্বত্রই তো কেউ না কেউ শ্যেন দৃষ্টি রাখছে। বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে ভিন্ন ধর্ম নিয়ে অশ্লীল ওয়াজ বন্ধ করতে বলে দেখুন, সঙ্গে সঙ্গে ‘অবমাননা’র খাড়ায় পড়ে যাবেন।

মেঘদলের ১৫ বছর আগের একটা গানেই যদি ধর্ম অবমাননা হয়ে পড়ে, তাহলে তো নজরুল, লালন, শাহ আব্দুল করিমের মরণোত্তর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার কথা। ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিপক্ষকে খুশি রাখতে সব কিছু এতোটাই স্পর্শকাতর করা হয়েছে যে, প্রতিটি মানুষের মনেই এখন ভয় পাও, ভয়ে থাকো, ভীত হও...বাঁচতে হলে মুখ বন্ধ রাখো... একেবারেই স্পিক্টি নট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়