আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক রোহিঙ্গার মৃতদেহ দেহ নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
[৩] রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বলেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ হাসিম। আবার কেউ বলছেন ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী দীর্ঘ দিন ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এজন্য রোহিঙ্গারা তাকে গণপিঠনি দিয়ে মেরে ফেলেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
[৪] বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন- রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হযেছে। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসিমের মরদেহ নয় সেটি নিশ্চিত। উক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা মামলাও এখন পর্যন্ত দায়ের হয়নি থানায়।’
[৫] রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি সুত্র জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি হাসিম। সে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং ২২নং ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। সে নিজেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক একটি বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। গণপিঠনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
[৬] আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল হাশিম নামের এক রোহিঙ্গা। তিনি সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও মাদরাসায় হামলা চালিয়ে ছয় জন হত্যার অন্যতম হুকুমদাতা। ক্যাম্পে অঘোষিত নিয়ন্ত্রণযজ্ঞ চালায় হাশিম।এসব ঘটনার কারণে সাধারণ রোহিঙ্গারা ক্ষিপ্ত ছিল। হয়ত গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই সূত্র তথ্যটি সঠিক নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
আপনার মতামত লিখুন :