শাহাজাদা এমরান: [২] কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে থাকা চার আসামি গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য দিয়েছে। এই তথ্যে এই ঘটনা ঘটানোর নেপথ্যে কিছু নাম বের হয়ে এসেছে আসামিদের কাছ থেকে।
[৩] সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান শনিবার দুপুরে জানিয়েছেন, আসামিদের গডফাদার বা ইন্ধনদাতা হিসেবে যাদের নাম পেয়েছি শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে এর আগে রিমান্ডে থাকা আসামিদের দেওয়া তথ্য গুলো অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
[৪] সিআইডির একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রিমান্ডে থাকা চার আসামি প্রথম দফা রিমান্ড চলাকালীন খুব বেশী তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করলেও দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শুরুর প্রথম দিন থেকেই তারা নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। আসামিরা কি ধরনের তথ্য দিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে এখনি বলা যাবে না।
[৫] উল্লেখ্য-গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনার পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এতোদিন মামলাটি তদন্ত করেছেন ওই থানার এস আই মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে মামলাটি সিাইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৬] এ মামলা এখন পর্যন্ত চারজনকে প্রথম দফায় সাত দিন ও গত শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন, ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন কবির, ফয়সাল আহমেদ এবং ইকরাম হোসেন।