নুর উদ্দিন: [২] দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ছাতকে ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫১জন প্রার্থী ও সদস্য - সদস্যা পদে ৪৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। বুধবার উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।
[৩] এর মধ্যে ছাতক সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (আনারস), রঞ্জন কুমার দাস (নৌকা), আছাদ আহমদ টিটু (ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে ২৮জন এবং সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। ৯ নং ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মতলিব।
[৪] খুরমা (উঃ) ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ (নৌকা), শামসুল ইসলাম খান (আনারস), এডভোকেট মনির উদ্দিন (মোটরসাইকেল) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এই ইউনিয়নে সাধারন সদস্য পদে ৩৩ জন এবং ০৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী।
[৫] খুরমা (দঃ) ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির (নৌকা), জয়নাল আবেদীন (টেলিফোন) আবুল কাশেম হাসান (মোটরসাইকেল), আবু বক্কর সিদ্দিক (ঘোড়া), আব্দুল খালিক (চশমা), গোলাম আজম তালুকদার (আনারস) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এই ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৩৫জন এবং সংরক্ষিত আসনে ০৯জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
[৬] কালারুকা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওদুদ আলম (নৌকা), আশরাফুল আলম (আনারস), শেখ সেলিম আরফাত মিয়া (ঘোড়া) প্রতিক পেয়েছেন। ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
[৭] ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ (নৌকা), হাফিজুর রহমান (ঘোড়া), নানু মিয়া (চশমা), আব্দুল খালিক (মোটরসাইকেল) মিজানুর রহমান মানিক (টেবিলফ্যান), শফিকুল হক (আনারস) প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৩৩জন এবং সংরক্ষিত সদস্যা পদে প্রার্থী হয়েছেন ০৯জন। ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চন্দ্রমালা বিবি বিজয়ী হয়েছেন।
[৮] দোলারবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া (নৌকা), নুরুল আলম (চশমা), আসমত আলী (আনারস), আমির উদ্দিন (মোটরসাইকেল), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আব্দুল ছালিক মিলন তালুকদার, জাতীয় পার্টি (লাঙল), প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এই ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ এবং সংরক্ষিত সদস্যা পদে ১১ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। ৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী রিহান উদ্দিনের দাখিলীয় মনোনয়ণ বৈধ হয়েছে। আপেল প্রতিক পেয়েছেন তিনি। তবে মনোনয়ণ দাখিলের পর থেকে নির্বাচন অফিসের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। জানা গেছে ওই প্রার্থী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
[৯] চরমহল্লা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত (মোটরসাইকেল), জালাল উদ্দীন( ঘোড়া), কদর মিয়া (নৌকা), ছোরাব আলী (টেলিফোন), কামরুল ইসলাম (চশমা), তাজুদ আলী (দুটি পাতা), জসিম উদ্দিন তালুকদার (আনারস) প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ জন এবং সংরক্ষিত সদস্যা পদে নারী প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন।
[১০] ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হেকিম (নৌকা), এডভোকেট সুফি আলম সোহেল (টেলিফোন), মাওলানা আকিক হোসেন (চশমা), কামরুল ইসলাম (আনারস) প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে সাধারন সদস্য পদে ৪২জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ১১জন।
[১১] গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান (আনারস), আলহাজ্ব সুন্দর আলী (নৌকা), হাজী নিজাম উদ্দিন (মোটরসাইকেল) প্রতিক নিয়ে প্রার্থী। এ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ এবং সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে ১১ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
[১২] জাউয়া বাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন (মোটরসাইকেল), আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম (নৌকা), আফরোজ আলী (অটোরিকশা), আব্দুল হক (ঘোড়া), আল আমিন (টেবিলফ্যান), আসাদুল হক মঞ্জু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ), আসাদুর রহমান পীর (চশমা), লায়েক আহমদ( ঢোল), সুবেদ আহমদ রাজন (টেলিফোন), রেজা মিয়া তালুকদার (আনারস) প্রতিকে লড়বেন। এই ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৪২ এবং সংরক্ষিত নারি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ১৩ জন। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ণ প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ছাতক উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১নভেম্বর।