সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা ৫৩ নম্বর ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত আমরা ৪২টি অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করলাম। এ বছরের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে। আমরা ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি।
[৩] তিনি আরও বলেন, বাস যোগ্যতার ভিত্তিতে শহরগুলোর যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়, সেখানে দেখা যায় ঢাকা সর্বনিন্মে অবস্থান করে। এর একটি অন্যতম কারণ হলো, ঢাকা শহরের যেখানে-সেখানে, রাস্তার উপরে, নর্দমার ভেতরে-বাইরে, খালে-বিলে সব জায়গায় বর্জ্য উপচে পড়ছে।
[৪] মেয়র বলেন, যত্রতত্র উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকে। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক একটি করে অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
[৫] বুধবার (২৭ অক্টোবর) মেয়র দক্ষিণ সিটির ৬৩ নম্বর ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে একথা বলেন।
[৬] তিনি বলেন, আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের ফলে দক্ষিণ সিটি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর হার একেবারে নিন্ম পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দক্ষিণ সিটি এলাকায় মাত্র ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, ঢাকার অন্যান্য এলাকাসহ আশপাশের এলাকা ও অন্যান্য জেলায় ডেঙ্গু রোগীর বিস্তার বেড়েছে। আগামী মাসের ১ তারিখ হতে কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে বিশেষ কার্যক্রম শুরু করবো।
[৭] এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈমসহ সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।