মঈন উদ্দীন: [২] গ্রাহকের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎকারি প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগি গ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম। রাজশাহীতে ৭ জন গ্রাহকের ৩৬ লাখ টাকা প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র সিইও সাইফুল ইসলামেকে ১ নং আসামি করে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ।
[৩] সোমবার সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।
[৪] এর আগে, গত রোবাবর (২৪ অক্টোবর) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল ইসলামকে নগরীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[৫] মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানের রাজশাহী অফিস ছিল নগরীর উপশহর নূর মসজিদ এলাকায়। তবে মাত্র দুই মাস অফিস চলার পরে বন্ধ করে দেয় গ্রহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রটি। এর আগে রাজধানীর বাড্ডায় গ্লোবাল গেইন গ্রুপের কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, সিইও মো. সাইফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আলতাব, জাকারিয়া, মারুফ, হিসাব রক্ষক মেহেদী ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পরে তাদের অন্য অফিসের সাথে রাজশাহী অফিসও বন্ধ হয়ে যায়।
[৬] গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র কয়েকজন গ্রহক জানান, গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’ করোনার মধ্যে মার্কেটে আসে। এর পরে তাদের গ্রহণদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে অধিক মুনফা দেওয়ার নামে। গ্লোবাল গেইন গ্রুপে ৫০ হাজার টাকা রাখলে প্রতিদিন ২০০ করে টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া গ্লোবাল গেইন গ্রুপের বিভিন্ন পণ্য আছে। যেগুলো গ্রহকদের কাছে বিক্রি করা হয়। দাম হিসেবে লাভের টাকা থেকে কেটে নেওয়ার কথা ছিল। তবে রাজশাহীতে অল্প কিছুদিন নিয়মিত থাকার পরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
[৭] নগরীর মোন্নাফের মোড় এলাকার ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র গ্রহক মো. সিরাজ জানান, ‘গ্লোবাল গেইন গ্রুপ’র রাজশাহীতে অফিস ছিল। তবে এখন বন্ধ। আমার ধারনা- রাজশাহীতে তাদের গ্রহক প্রায় ১৮০ জন। তাদের থেকে বিভিন্ন সময় নিয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি।
[৮] বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মন জানান, প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার গ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ